ধারাবাহিক রচনা: ছবিতে নারী এবং নারীর ছবি


 

ছবিতে নারী এবং নারীর ছবি

শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়


 সাত

আচ্ছা মেয়েরা কি রোমান্টিক! কেন বলছি এ কথা? এতোদিন মেয়েদের ছবির জগতে আত্মপ্রকাশটুকুই ছিল স্বীকার্য কিন্তু এখন নিওক্লাসিকাল পিরিয়ডে এসে আত্মপ্রকাশ আর বড় কথা রইল না মেয়েদের।অনেক মেয়েরাই এখন ছবি আঁকছে। এখন থেকে মেয়েদের হতে হয়েছিল যুগের যে নোটেশন তার যোগ্য সংগতকারী। মেয়েরা কি তবে রোমান্টিসিজমকে প্রকৃত উদযাপন করেছে? রোমান্টিকতাকে তারা কতটা আত্মস্থ করেছে আর যাপন করতে পেরেছেন! রোমান্টিসিজম তো একটা পলিটিকাল ওয়ে অফ এক্সপ্রেশন। মেয়েরা রোমান্টিকতাকে ফ্যান্টাসাইজ করবে নাকি তার দিকগুলোকে উপস্থাপন করবে এই দ্বন্দ্ব কিন্তু নিওক্লাসিকাল হতে রোমান্টিসিজমের ছবির মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। আবার এই সময়ের মজাটা হচ্ছে একদিকে নিওক্লাসিজম মতবাদ উঠে আসছে যা পুরনো ক্লাসিক্যাল পিরিয়ডের একটা সংস্কার হয়েও কোথাও না কোথাও একটা নিয়ন্ত্রিত ভাবাবেগকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছিল কিন্তু সেখানে চলে এলো রোমান্টিকতা। রোমান্টিকতা কিন্তু একটা যুদ্ধের ফসল। কথায় আছে "at the begining of every revolution men hope, for they think of all that mankind may gain in a new world; in its next phase they fear, for they think of what mankind may lose"। রোমান্টিকতার দ্বন্দ্বটাই এখানে। একদিকে প্রাপ্তির আশা অন্যদিকে হারানোর ভয়। আর এর মধ্যে বসেই লিখছেন রোমান্টিকতায় মদমত্ত হয়ে ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কোল্ডরিজ, বায়রন, শেলী, কিটসের মত কবিরা। আর এই ঘাত প্রতিঘাত মেয়েদের ছুঁয়েছিল কি! রোমান্টিক পিরিয়ডে মেয়েদের নিয়ে কাজ তো অনেক হয়েছে কিন্তু যখন মেয়েরা কাজ করতে গিয়েছেন সেই রোমান্টিকতাই কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়েরা আর কতটা প্রকৃতির কাছে পৌঁছতে পেরেছে বলুনতো সুধী পাঠিকা! মেয়েরা কি বায়রনের মত মন খুলে রোমান্টিকতাকে উদযাপন করতে পেরেছেন- 

                                                                                                                      

No I'll not weep; 

I have full cause of weeping, but this heart

Shall break into a hundred thousand flows

Or ere I'll weep.

 

মেয়েদের কান্নার অবদমনগুলোও কিন্তু এই রোমান্টিকতার আড়ালে পলিটিকাল হয়ে গিয়েছে। অষ্টাদশ শতক তার সাক্ষী। রিটার্ন টু নেচার কখনোই নারীদের কাছে ভাবনার শৌখিনতা ছিলনা। যুগটা ছিল যুদ্ধের, রক্ত ক্ষয়ের, বিপ্লবের। অর্থাৎ দ্বন্দ্ব, দ্বন্দ্ব, আর দ্বন্দ্ব। সেখান থেকে খুঁজে নিতে হয়েছে সার্বিক নির্মাণের আখ্যানকে।

 ক্লারা হুইটলে (১৭৫০-১৮৩৮) ছিলেন ব্রিটিশ চিত্রী। এঁকেছেন ফ্লোরাল মিনিয়েচার ছবি। রোমান্টিকতার পাশাপাশি যা মননের সুচারু বিন্যাসকে উপস্থাপন করে। ক্লারার কাজে যে রঙের অভিব্যাক্তি তা কিন্তু নিওক্লাসিসিজমের সাক্ষ্য বহন করে। ব্যক্তিগত জীবন যতই ঝড় এর মুখোমুখি ক্লারার কাজ ততো স্বাভাবিকতার কাছাকাছি এসেছে।

 মারি ভিক্টরি  লেমইনি (১৭৫৪-১৮২০) ফ্রেঞ্চ চিত্রী লেমইনি নিওক্লাসিকাল যুগের অন্যতম। তাঁর কাজ  মূলত মিনিয়েচার ধর্মী হলেও ফিগারেটিভ কাজগুলো অন্যতম। তাঁর কাজের মধ্যে 'পায়রা হাতে তরুণী', 'বেহালা বাদক বালক', 'লাইলাক কাটছে তরুণী' ছবিগুলো উল্লেখযোগ্য। (ছবি : ২৫)

ছবি ২৫

  মারিয়া কসওয়ে (১৭৬০-১৮৩৮) কসওয়ে ছবি এঁকেছেন দাপটের সঙ্গে। রয়েল একাডেমীতে প্রদর্শিত হয়েছে তার ছবি। মারিয়ার অবদানের কথা জানতে জিবাল্ড  বার্ননেটের 'রিচার্ড এন্ড মারিয়া কসওয়েঃ আ বায়োগ্রাফি' বইটি পড়ে দেখা যেতে পারে। তাঁর প্রায় তিরিশটির কাছাকাছি কাজ ১৭৮১ হতে রয়েল একাডেমিতে প্রদর্শিত হয়।

 অ্যামেলিয়া লঙ (১৭৭২-১৮৩৭) লঙ ছিলেন প্রধানত নিসর্গ চিত্রী। রঙের বিন্যাসে যে মুগ্ধতা তা তাঁকে রোমান্টিক শৈলীর চিত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠা এনে দিয়েছিল। লঙের কাজ ১৮০৭ থেকে ১৮২২ সাল পর্যন্ত রয়েল একাডেমীতে সম্মানীয় শিল্পী হিসেবে প্রদর্শিত হয়।

 লেডি হেয়ার্নক্লিফ (১৭৭৯-১৮৫৬) ছবি এঁকেছেন মূলত নিসর্গের। তাঁর ৫৫টি কাজ সংরক্ষিত রয়েছে। ছবিতে নিসর্গের পাশাপাশি ফিগারেটিভ কাজগুলি অন্যতম।

 রলিন্ডা শার্প্লেস (১৭৯৩-১৮৩৮)  রলিন্ডার মা ছিলেন মিনিয়েচার শিল্পী। তাঁর কাছেই শিক্ষার শুরুয়াত, পরবর্তীতে পারিবারিক চিত্রনির্মাণের ব্যবসায় যুক্ত হয়ে প্রচুর ছবির কাজ করেন। ১৮২৭ এ রলিন্ডা সোসাইটি অফ ব্রিটিশ আর্টিস্টের সম্মানীয় সদস্য হন।

 সোফি রুড (১৭৯৭-১৮৬৭) রুড প্রধানত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে ছবির বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন নিও-ক্লাসিক পিরিয়ডের পুরোধা। পৌরাণিক বিষয়ও তাঁর ছবির অন্যতম উপজীব্য বিষয়। তাঁর ‘বেল এন্থিয়া’ ছবিটি নিওক্লাসিসিজমের অন্যতম উদাহরণ। (ছবি : ২৬)

ছবি ২৬

  মারিই অ্যানি ক্যালট (১৭৪৮-১৮২১) অ্যানির কাজগুলো ছিল মূলত স্কাল্পচারের। প্রথমদিককার কাজে টেরাকোটা থাকলেও তার মার্বেলের কাজগুলো বিশেষ দাবি রাখে। ল্যুভরে রয়েছে তাঁর কাজ। স্থাপত্যের মধ্যে  ব্রাস্ট অফ ফ্যালকনেট, ভলতেয়ার অন্যতম। এছাড়া পিটার দ্য গ্রেটের যে মুখের আদল তিনি তৈরি করেন তাব বিশেষ দাবি রাখে।

 মেয়েরা কিন্তু আঁকল। কিন্তু রোমান্টিকতার যে অনবদ্য সম্ভাবনা ইউরোপীয় পুরুষ শিল্পীদের ক্যানভাসে দেখা গেল তা কিন্তু কোথাও না কোথাও অনুপস্থিত চিত্রীদের ক্যানভাসে। রোমান্টিসিজম নিয়ে নারী চিত্রীদের ধারণার প্রকাশ যেন অনেক বেশি চাপা। কিসের অভাব ছিল তবে! ইউরোপীয় রোমান্টিকতায় কিন্তু মেয়েরা কোথাও না কোথাও উপেক্ষিত। একটা কেমন যেন করুণ পরিণতি। আমেরিকায় কিন্তু এই সময় ছবিটা একটু হলেও আলাদা। মেয়েরা দেরিতে শুরু করলেও; রোমান্টিকতা ছুঁয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থাকলেও, ছবি এঁকেছেন পুরোদমে এই সময় মেয়েরা।

 মার্গারিটা এ পিয়েল (১৭৯৫-১৮৮২) ফিলাডেলফিয়ার চিত্রী পিয়েল বাবার স্টিল-লাইফ ছবির দ্বারা বিশেষ প্রভাবিত ছিলেন। ১৮৩৬ সালে আঁকা 'মেলন চেরিস এবং প্লামস' ছবির রঙের বিন্যাস, ছন্দ বিশেষভাবে উল্লেখ্য।

 এলিজা গুডরিজ (১৭৯৮-১৮৮২) মিনিয়েচার শিল্পী গুডরিজ সময়ের প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে ছবি আঁকেন। আমেরিকান অ্যান্টি কুয়ারিয়ান সোসাইটির পোর্ট্রেট সংগ্রহে তাঁর কিছু ছবি সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া তাঁর বেশ কিছু ছবি ওরসেসটার আর্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত।

 ফ্রান্সেস পালমের (১৮১২-১৮৭৬)  পালমের ছিলেন প্রধানত লিথোগ্রাফার।  তাঁর ১৮৫৫  সালে আঁকা  'উইন্টার পাসটাইম' ছবিটি উল্লেখযোগ্য।  টিউবারকিউলোসিসে মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত পালমের  আজীবন যুক্ত থেকেছেন ছবি এবং ছবি সংক্রান্ত ব্যবসা ও ভাবনায়।

 ইউনিস পিনে (১৭৭০-১৮৪৯) প্রথম দিককার আমেরিকান ফোক চিত্রীদের মধ্যে পিনে কাজ করতেন মূলত জলরঙে। পিনের সময়টা সম্পর্কে ধরতে পাঠিকা পড়ে দেখতে পারেন তাঁর আত্মজীবনী "A memoir of the life of Bishop Griswold (1844)"।  কিছুটা বেশি বয়সে কাজ শুরু করলেও তার জল রঙের ছবিতে স্থানীয় সংস্কৃতি ও পুরাতন সময়ের সংকেতগুলোকে উপস্থাপনের অনুপ্রেরণা দেখা যায়।

 মেরি এ উইলসন (?)  উইলসনের ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে কম জানা গেলেও আমেরিকান প্রিমিটিভ ছবির ক্ষেত্রে তার অবদান এবং জলরঙে ছবি সময়ের সাক্ষ্য। উজ্জ্বল রং ব্যবহারের প্রতি ঝোঁক লক্ষ্য করার মতো। তার ছবিতে আধুনিক বিমূর্ত ছবির রসদ খুঁজে পাওয়া যায়। উইলসনের বেশ কিছু ছবির সঙ্গে ফ্রীডার ছবির ভাবনার প্রভাব ও মিল খুঁজে পাই কি!  ( ছবি :  ২৭) 

ছবি ২৭
 

 সারাহ মারিয়াম পিয়েল (১৮০০-১৮৮৫) পিয়েলকে মনে করা হয় প্রথম আমেরিকান পেশাদার চিত্রী। মূলত ছবি এঁকেছেন প্রতিকৃতি ও স্থির চিত্রের। ১৮২৪-এ পেনসিলভেনিয়া আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসের অন্তর্ভুক্ত হন। তাঁর ১৮৬০ সালে আঁকা 'বাকেট অফ বেরিস' আমার ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত পছন্দের একটি কাজ।

 হ্যারিয়েট ক্যানি পিয়েল (১৭৯৯-১৮৬৯) পিয়েলের প্রথম প্রদর্শনী হয় ১৮৪০-এ পেনসিলভেনিয়া আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসে। তাঁর ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কাজ Kaaterskill Clove।

জেনি স্টুয়ার্ট  (১৮১২-১৮৮৮) মূলত  মিনিয়েচার ও প্রতিকৃতি এঁকেছেন। তাঁর ধর্মীয় ছবিগুলো ব্যতিক্রমী। জর্জ ওয়াশিংটনের প্রতিকৃতি 

 উল্লেখ্য তেমনি আবার 'মর্নিং, নুন এন্ড নাইট' একটা নতুন ভাবনার কাজ। ( ছবি : ২৮)

ছবি ২৮
 

  লিলি মার্টিন স্পেনসার (১৮২২-১৯০২) ইংল্যান্ডের জন্মে স্পেনসার ১৮৩০-এ চলে আসেন পরিবারের সাথে নিউ ইয়র্কে। দীর্ঘ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও নিজের ছবির কাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর গৃহযুদ্ধকালীন সময়ের ছবি 'ওয়ার স্পিরিট অ্যাট হোম, ১৮৬৬', 'উই বোথ মাস্ট ফেড ইন, ১৮৬৯' উল্লেখযোগ্য।

 এমা স্টেবিনস (১৮১৫-১৮৮২) এমা ছিলেন আমেরিকার প্রথম মহিলা স্থপতি যিনি নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম স্থাপত্যের কাজ করার সুযোগ পান। তিনি ছিলেন নিওক্লাসিকাল স্থপতি। মূলত কাজ করেছেন মার্বেল ও ব্রোঞ্জে। তাঁর 'এঞ্জেল অফ দা ওয়াটার', 'ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স', 'ক্রিস্টোফার কলম্বাস' উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য কাজ।

 আর বাকী রইলো কথা প্রি রাফালাইট সিস্টারহুড নিয়ে। তা এই অল্প পরিসরে এই সকল মহীয়সীদের নাম শুধু নেওয়ার চাইতে পাঠিকা বরং নিচের লিঙ্কটা ঘুরে আসুন। রোমান্টিক এরাকে বুঝতে প্রি রাফালাইট সিস্টারহুডকে মাথায় রাখতেই হয়। আত্মস্থ করতে হয় এই সংঘবদ্ধ পথচলার বাঁকগুলোকে।

এখানে ট্যাপ করুন

রোমান্টিক। রোমান্টিকতা। রোমান্স। সবই তাই পলিটিকাল অ্যালিগরি। একে নিয়ে যেমন একটা চাপানোতোর কাজ করে তেমনি তাঁর উপস্থিতির মধ্যে একটা রসময়তা রয়েছে। রোমান্টিসিজম শিল্পীকে অনেক বেশি একা হতে শিখিয়েছে। নিওক্লাসিসিজম যখন ধর্মীয় অনুষঙ্গকে অনেক বেশি সামাজিক প্রকরণের মধ্যে নিয়ে এসেছে। তার প্রভাব কিন্তু নারী চিন্তাধারায় পুষ্ট হয়েছে। ঠিক তেমনি নারী  রোমান্টিকতার একটা  আলাদা মেজাজ ধরা পড়েছে ইউরোপীয় ও আমেরিকান ছবিগুলোতে। যে ছবি অনেক বেশি বস্তুর মনন নির্ভর। একটা সামান্য তরমুজ কে দেখা হচ্ছে কিন্তু সে দেখায় মিশে আছে মননের অন্তঃকরণ। ভাবনার এই পরিসর যুগের নিরিখে নতুন একটা আবেদন তো ঠিকই। তবু রোমান্টিক যুগের মেয়েরা যেন কোথায় একটা ভাবনার জগতে কুঁকড়ে থেকেছে বলে মনে হয়। আর্টিমিসিয়া দুর্বার গতিতে ক্যানভাসে লিপিবদ্ধ করেছেন যে প্রতিশোধের ছবি রোমান্টিক যুগে তার উত্তরণ আরো বেশি লক্ষ্য করা যেত কিন্তু তার বদলে নারী মন ব্যস্ত থাকলো রঙে- রূপে-রসে। এই আবেগের উচ্চারণই কি তবে রোমান্টিকতার চিরমুক্তির পথ। সব ভুলে থাকার আরেক নাম কি তবে রোমান্টিকতা। যে রোমান্টিকতায় সিক্ত হয়ে পিকাসো প্রবল যুদ্ধের দিনেও শান্ত মুখের প্রেমিকাকে আঁকেন! রোমান্টিক যুগ তাই একটা কুহক। এর আবেদন যেন অনস্বীকার্য। তেমনি তার প্রভাব দ্বন্দ্বময়।

 সত্যি বলতে কি নিওক্লাসিসিজম ও রোমান্টিক পিরিয়ডের চিত্রীরা যেন রহস্যাবৃত থেকেছেন কাজের এবং চিন্তার নিরিখে। এ রহস্যময়তা চেতনের, রহস্য মননের। এই রহস্যময়তাকে ছুঁতে হয় বড় মায়ায়, বড় আবেগে। রোমান্টিকতায় তাই আবেগ একটা অন্যতম উপজীব্য অন্তর্নিহিত চোরাস্রোত। যার থেকে ধীরে ধীরে উঠে আসে পরবর্তী কালের সকল শিল্প মুভমেন্টগুলো। রোমান্টিসিজম সেই বিরাট সম্ভাবনার আঁতুড়ঘর যেখানে খোলা সমুদ্রের সামনে একলা মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে দর্শকদের দিকে পিঠ দিয়ে। এতটাই প্রবল তার অধিচেতন। 

(ক্রমশ)

 সূচিপত্রে যাওয়ার সূত্র

Comments

Popular posts from this blog

বিশেষ রচনা: শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়-এর 'বাজার সফর সমগ্র'

ধারাবাহিক উপন্যাস